Pages

Subscribe:

Ads 468x60px

Saturday, January 26, 2013

কফ বা কাশের সিরাপ


AMYDRAMINE Expectorant Syrup

CODE: 11101671

Price: SR8.30 
http://adamapharmacy.com/en/amydramine-expectorant-syrup.html
In stock

↑↓
AMYDRAMINE

Composition
Each teaspoonful (5mL) of the syrup or each sachet contains: Diphenhydramine HCl 13.5mg, Ammonium Chloride 131.5mg, Sodium Citrate 57mg, Menthol 1mg

Indications
For the symptomatic relief of cough due to colds or other upper respiratory tract infections or allergy.

Dosage and Administration
Adults and children over 12 years: 1-2 teaspoonfuls or 1-2 sachets.
Children 6-12 years: 1 teaspoonful or 1 sachet.
Children 1-5 years: 1/2 teaspoonful.
Dose to be repeated every 4 hours, or as directed by the physician. 

omathrocin

Friday, January 25, 2013

ডায়াবেটিসে সবচেয়ে বড় ঝুঁকি কিডনির রোগ



ডায়াবেটিসে সবচেয়ে বড় ঝুঁকি কিডনির রোগ

অনলাইন ডেস্ক | তারিখ: ২৫-০১-২০১৩

আপনার যদি ডায়াবেটিস থাকে, এখনই কিডনির প্রতি যত্নবান হোন। এই যত্ন আপনাকে দিতে পারে দীর্ঘজীবন। মার্কিন গবেষকদের দেওয়া ওই তথ্যের বরাত দিয়ে আজ শুক্রবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের চালানো এক গবেষণার ফলাফলের বরাত দিয়ে ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়, ডায়াবেটিসের কারণে কিডনির রোগে আক্রান্ত হয়ে অল্প বয়সে মৃত্যুর ঝুঁকি অনেক বেশি।
গবেষণায় ১০ বছর ধরে ১৫ হাজারেরও বেশি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ও ডায়াবেটিসমুক্ত ব্যক্তির মৃত্যুর হার পর্যালোচনা করা হয়েছে। গবেষণা-বিষয়ক নিবন্ধটি ‘জার্নাল অব দ্য আমেরিকান সোসাইটি অব নেফ্রোলজি’তে প্রকাশিত হয়েছে।
নিবন্ধে উল্লেখ করা হয়, গবেষণায় ডায়াবেটিসমুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ৯ দশমিক ৪ শতাংশ কিডনির রোগে আক্রান্ত বলে পাওয়া গেছে। ডায়াবেটিসে ভোগা রোগীদের মধ্যে কিডনিতে আক্রান্ত হওয়া ব্যক্তির হার ৪২ দশমিক ৩ শতাংশ।
গবেষণায় দেখা গেছে, এক দশকের এই গবেষণা চলাকালে ডায়াবেটিস বা কিনডির জটিলতা নেই এমন ব্যক্তিদের মাত্র ৭ দশমিক ৭ শতাংশ মারা গেছে। এই মৃত্যুর হার ডায়াবেটিসে ভোগা (কিডনির সমস্যা নেই) ব্যক্তিদের ১১ দশমিক ৫ শতাংশ। উভয় সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে মৃত্যুর হার ৩১ দশমিক ১ শতাংশ।
এই গবেষণার ফলাফল নিয়ে শঙ্কিত যুক্তরাজ্য। দেশটির বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ ডায়াবেটিসের কারণে সৃষ্ট কিডনির জটিলতা শনাক্ত ও নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে পর্যাপ্ত উদ্যোগ নিচ্ছে না।
২০১২ সালের এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, যুক্তরাজ্যে প্রতি ১০ জনে সাতজন রোগী বড় ধরনের রোগের ক্ষেত্রে প্রতিবছর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে থাকেন। প্রায় ৫ শতাংশ ব্রিটিশ নাগরিক ডায়াবেটিস পরীক্ষা করান এবং সে অনুযায়ী জীবনযাপনে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন এনে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এটি তাঁদের জীবনের ওপর ভালো প্রভাব ফেলে। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার খবর জেনেও যাঁরা নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করেন না, পরবর্তী সময়ে তাঁরা বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় আক্রান্ত হন।
গবেষণা দলের প্রধান মরিয়ম আফকারিয়ান বলেন, ‘টাইপ-টু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা হূদরোগ ও মৃত্যুঝুঁকিতে বেশি ভোগেন। তাই আমরা ধারণা করছি, এর কারণে কিডনির জটিলতাও বাড়ে।’
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের নিয়ে কাজ করা ডায়াবেটিস ইউকের ক্লিনিক্যাল উপদেষ্টা ক্যাথি মাওলটন বলেন, ডায়াবেটিস যদি অল্প বয়সেই ধরা পড়ে, তবে রক্তচাপের ওষুধ খাওয়ার মাধ্যমে ডায়াবেটিসজনিত কিডনির জটিলতা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

Monday, January 21, 2013

ভেষজের গুণ...


ভেষজের গুণ...

খাদিজা ফাল্গুনী | তারিখ: ২২-০১-২০১৩
  • নানা ভেষজের নানা গুণ, ত্বক ও চুলের যত্নে ব্যবহার করতে পারেন এসব। মডেল: সাবিলা
    নানা ভেষজের নানা গুণ, ত্বক ও চুলের যত্নে ব্যবহার করতে পারেন এসব। মডেল: সাবিলা
    ছবি: নকশা
1 2
রূপচর্চায় প্রাকৃতিক ভেষজ উপাদানের কদর হয়েছে যুগে যুগে। এখনো রূপসচেতন নারী-পুরুষেরা সৌন্দর্যচর্চায় সবার আগে বেছে নিতে চান ভেষজ বা হারবাল প্যাক। রূপবিশেষজ্ঞদের পছন্দের তালিকায় হারবাল উপাদান সব সময়ই প্রথম। এমন কী গুণ আছে হারবালের? হারমনি স্পার প্রধান রূপবিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানার পছন্দের হারবালগুলোতেই না-হয় চোখ বুলিয়ে বুঝে নিন—কেনটির কী গুণ জানিয়ে দিয়েছেন তিনিই।

অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী
অ্যালোভেরায় মূলত শাঁস ব্যবহার করা হয়। এটি ত্বক ও চুল ভালো রাখে, তবে ত্বকে সরাসরি ব্যবহার করা ঠিক নয়। এর ফলে চুলকানি বা অ্যালার্জি হতে পারে। কোনো উপযুক্ত মাধ্যমের সাহায্যে ব্যবহার করলে অ্যালোভেরা জাদু দেখাতে পারে। শুষ্ক ত্বকে অ্যালোভেরায় দুধ ও মধু মিশিয়ে ব্যবহার করা ভালো। তৈলাক্ত ত্বকে শুধু মধু যোগ করতে পারেন। চুলে সরাসরি লাগানো যায়। এক ঘণ্টা রাখলে চুল পড়া কমবে, নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে। অ্যালোভেরা স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো।

হরীতকী
আগের দিনে নবজাতকের চোখে হরীতকীর কাজল লাগানো হতো। বিশ্বাস ছিল, এতে করে তার চোখের গঠন সুন্দর হবে, চোখ বড় হবে। ভেষজের মধ্যে হরীতকীর গুরুত্ব অনেক। হরীতকীর ভেজানো নরম শাঁস ত্বকের দাগ দূর করতে সাহায্য করে। এর মধ্যে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে প্রচুর। ত্রিফলার মধ্যে হরীতকী অন্যতম উপাদান। স্বাস্থ্যের যত্নে এর অবদান নতুন করে কিছু বলার আছে কি?

আমলকী
আমলকীতে সব ধরনের স্বাদ আছে। তাই তো এটি চ্যবনপ্রাসের মূল উপাদান। আমলকী ত্বক ও চুলের যত্নে অসাধারণ। এর আছে অ্যান্টি-এজিং বা বয়স প্রতিরোধক ক্ষমতা। আমলকীর পেস্টের সঙ্গে তিলের তেল মেখে মুখে ঘষলে রিংকল বা বয়সের ভাঁজ কম দেখায়। রিংকল কমাতে আমলকীর ক্রিমও ব্যবহার করতে পারেন। এ জন্য আধা কাপ আমলকীর শাঁসের পেস্ট, ২৫০ গ্রাম তিলের তেল, দুই টেবিল-চামচ মৌমাছির মোম প্রথমে চুলায় জ্বাল দিয়ে নিতে হবে। তারপর ছেঁকে নিয়ে ঠান্ডা হয়ে এলে এক টেবিল-চামচ মধু মেশাতে হবে। এই ক্রিম প্রতিদিন কিছুক্ষণ ব্যবহার করতে হবে। 

তুলসী
সর্দি, কাশি বা ঠান্ডা প্রতিরোধে তুলসীর কোনো তুলনা নেই। একই সঙ্গে এটি অ্যান্টিসেপটিক হিসেবেও কাজ করে। রূপচর্চায় তুলসী মূলত ব্যবহার করা হয় মেছতা তোলার কাজে। এ জন্য প্রতিদিন ২০ মিনিট মেছতার ওপর তুলসী বেটে লাগিয়ে রাখতে হয়। তুলসীর রস প্রতিদিন পান করলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।

মেথি
চুলের ও ত্বকের হারবাল উপাদান হিসেবে মেথির কোনো তুলনা নেই। মেথি গুঁড়ো করে ব্রণের ওপর লাগালে ব্রণ কমে। চুল নরম ও ঝলমলে করে। মেথি ভেজানো পানি পান করলে ডায়াবেটিসের রোগীদের উপকার হয়। কারণ, মেথি ব্লাড সুগার কমাতে সাহায্য করে।

Sunday, January 20, 2013

দুধের সরের উপকারিতা


দুধের সরের উপকারিতা

আতাউর রহমান কাবুল
« আগের সংবাদ
31
পরের সংবাদ»
শীত শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঠোঁটে চামড়া উঠতে শুরু করে এবং ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। শীতে বেশিরভাগ মানুষই মুখে ভ্যাসলিন, গ্লিসারিন এবং কোল্ড ক্রিম ব্যবহার করেন। সকালে ক্রিম লাগানোর এক ঘণ্টা পরই ত্বক শুষ্ক হতে শুরু করে। বাজারের কেমিক্যালযুক্ত ক্রিম ব্যবহার না করে যদি ঘরে বানানো কোনো ভেষজ জিনিস মুখে লাগানো যায়, তাহলে তা ত্বকের জন্য খুব ফলদায়ী হয়।
* এক চামচ দুধের সর যদি লেবুর রসের সঙ্গে মিশিয়ে মুখে ব্যবহার করেন, তাহলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।
* বেসনের সঙ্গে যদি দুধের সর মিশিয়ে মুখে মাখা যায়, তাহলে মুখের রুক্ষ ভাব দূর হবে।
* মুলতানি মাটির সঙ্গে দুধের সর মিশিয়ে মাখলে মুখের গ্লেস বাড়বে।
* তিন-চারটি বাদাম এবং দশ-বারোটি গোলাপের পাপড়ি একসঙ্গে পিশে যদি দুধের সরের সঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগানো যায়, তাহলে মুখের দাগ সব দূর হয়ে যাবে।
* সমুদ্র ফেনার সঙ্গে দুধের সর মিশিয়ে মুখে লাগালেও ব্রন কমে যায়।
* মোসাম্বি বা কমলা লেবুর খোসা পিশে দুধের সরের সঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগালে ত্বক নরম ও উজ্জ্বল হয়।
* এক চামচ দুধের সরের সঙ্গে এক চামচ আপেলের রস মিশিয়ে মুখে লাগালে মুখের রঙের পরিবর্তন হয়।
* শীতকালে খুব কাশি হয়। এই কাশি কম রাখতে হলে আধাবাটি দুধের সরের মধ্যে এক চামচ নারকেল গুঁড়ো, পাঁচটি এলাচের টুকরো, দশটি গোলমরিচ পিশে অল্প আঁচে গরম করে নিন। রাতে শোবার আগে পান করুন। এতে আপনার কাশি কমে যাবে।

Friday, January 18, 2013

মাছের রোগব্যাধি প্রতিরোধে করণীয়


মাছের রোগব্যাধি প্রতিরোধে করণীয়

স্টাফ রিপোর্টার
« আগের সংবাদ
2
পরের সংবাদ»
বিভিন্ন সময় মাছ নানা রোগে আক্রান্ত হয়। নানা কারণে উন্মুক্ত জলাশয়ের চেয়ে বদ্ধ জলাশয়ে চাষ করা মাছে রোগাক্রমণ বেশি হয়ে থাকে। তাই পুকুর-দীঘির মাছ প্রায়ই নানা রোগের কবলে পড়তে দেখা যায়। পুকুর-দীঘিতে যেসব রোগে মাছ আক্রান্ত হতে পারে, এ ধরনের কয়েকটি সম্ভাব্য রোগ ও তার প্রতিকার সম্পর্কে সংক্ষিপ্তভাবে উল্লেখ করা হলো।
মাছের ক্ষত রোগ : এ রোগে সাধারণত শোল, গজার, টাকি, পুঁটি, বাইন, কৈ, মেনি, মৃগেল, কার্পিও এবং পুকুরতলায় বসবাসকারী অন্যান্য প্রজাতির মাছ আক্রান্ত হয়ে থাকে। আক্রান্ত মাছের গায়ে ক্ষত বা ঘা-জনিত লাল দাগ দেখা যায়। এই দাগের আকৃতি ক্রমেই বৃদ্ধি পেতে থাকবে। ঘায়ের স্থানে চাপ দিলে কখনও কখনও পুঁজও বের হতে পারে। ঘা মাছের লেজের গোড়া, পিঠ ও মুখের দিকেই বেশি হয়ে থাকে।
করণীয় : রোগাক্রান্ত মাছ পুকুর থেকে তাত্ক্ষণিকভাবে তুলে ফেলতে হবে। ১০ লিটার পানিতে ১০০ গ্রাম লবণ গুলে লবণমিশ্রিত পানিতে রোগাক্রান্ত মাছ পাঁচ থেকে দশ মিনিট ডুবিয়ে রাখার পর পুকুরে ছেড়ে দিতে হবে। ক্ষতরোগে আক্রমণের আগেই প্রতি বছর আশ্বিন মাসের শেষে কিংবা কার্তিক মাসের প্রথম দিকে পুকুরে শতাংশপ্রতি ১ কেজি হারে পাথুরে চুন ও ১ কেজি হারে লবণ প্রয়োগ করা হলে সাধারণত শীত মৌসুমে ক্ষত রোগের কবল থেকে মাছ মুক্ত থাকে। বিশেষজ্ঞ সূত্র থেকে জানা যায়, এ রোগ নিরাময়ের জন্য ০.০১ পিপিএম চুন ও ০.০১ পিপিএম লবণ অথবা ৭-৮ ফুট গভীরতায় প্রতি শতাংশ জলাশয়ে ১ কেজি হারে পাথুরে চুন ও ১ কেজি হারে লবণ প্রয়োগ করা হলে আক্রান্ত মাছ দুই সপ্তাহের মধ্যেই আরোগ্য লাভ করে।
মাছের পেট ফোলা রোগ : এ রোগে সাধারণত রুইজাতীয় মাছ, শিং-মাগুর ও পাঙ্গাশ মাছ আক্রান্ত হয়ে থাকে। রোগাক্রান্ত মাছের দেহের রং ফ্যাকাশে হয়ে যায়। পেটে পানি জমার কারণে পেট ফুলে যায়। মাছ ভারসাম্যহীনভাবে চলাফেরা করে। বেশিরভাগ সময়ই পানির ওপর ভেসে ওঠে এবং খাবি খায়। আক্রান্ত মাছ অতি দ্রুত মৃত্যুর মুখোমুখি হয়ে থাকে। মত্স্যবিজ্ঞানীদের মতে, অ্যারোমোনাডস জাতীয় ব্যাকটেরিয়া এ রোগের কারণ।
করণীয় : প্রথমত, খালি সিরিঞ্জ দিয়ে মাছের পেটের পানি বের করে নিতে হবে। অতঃপর প্রতিকেজি মাছের জন্য ২৫ মিলিগ্রাম হারে ক্লোরেম ফেনিকল ইনজেকশন দিতে হবে অথবা প্রতিকেজি সম্পূরক খাবারের সঙ্গে ২০০ মিলিগ্রাম ক্লোরেম ফেনিকল পাউডার মিশিয়ে মাছকে খাওয়াতে হবে। প্রতিকার হিসেবে প্রতি শতাংশ জলাশয়ে ১ কেজি হারে পাথুরে চুন প্রয়োগ করতে হবে। এক্ষেত্রে মাছের খাদ্যের সঙ্গে ফিশমিল ব্যবহার করা একান্তই অপরিহার্য। এছাড়া পুকুরে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রাকৃতিক খাদ্য উত্পাদনসহ মাছকে নিয়মিত সুষম খাদ্য প্রদানের বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে।
পাখনা অথবা লেজপচা রোগ : এ রোগে সাধারণত রুইজাতীয় মাছ, শিং-মাগুর ও পাঙ্গাশ মাছ আক্রান্ত হয়ে থাকে। এ রোগে আক্রান্ত হলে প্রাথমিকভাবে পিঠের পাখনা এবং ক্রমান্বয়ে অন্যান্য পাখনাও আক্রান্ত হয়। কোনো কোনো মত্স্যবিজ্ঞানীর অভিমত, অ্যারোমোনাডস ও মিক্সোব্যাকটার গ্রুপের ব্যাকটেরিয়া দ্বারা এ রোগের সংক্রমণ ঘটে। পানির ক্ষার স্বল্পতা ও পিএইচ ঘাটতি দেখা দিলেও এ রোগের উত্পত্তি হতে পারে।
করণীয় : ০.৫ পিপিএম পটাশযুক্ত পানিতে আক্রান্ত মাছকে ৩ থেকে ৫ মিনিট ডুবিয়ে রাখতে হবে। পুকুরে সাময়িকভাবে সার প্রয়োগ বন্ধ রাখতে হবে। এছাড়া রোগ-জীবাণু ধ্বংসের পর মজুতকৃত মাছের সংখ্যা কমিয়ে ফেলতে হবে। এ অবস্থায় প্রতি শতাংশে ১ কেজি হারে পাথুরে চুন প্রয়োগ করা অতি জরুরি। মাছের উকুন রোগ : এ রোগে সাধারণত রুই মাছ, কখনও কখনও কাতল মাছও আক্রান্ত হতে পারে। গ্রীষ্মকালে এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। এ রোগে মাছের সারাদেহে উকুন ছড়িয়ে দেহের রস শোষণ করে মাছকে ক্ষতবিক্ষত করে দেয়। এতে মাছ ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে মারা যায়।
করণীয় : শতকরা আড়াই ভাগ লবণ দ্রবণে কিছু সময় আক্রান্ত মাছ ডুবিয়ে রাখলে উকুনগুলো নিস্তেজ হয়ে পড়বে। এ অবস্থায় হাত কিংবা চিমটা দিয়ে উকুনগুলো মাছের শরীর থেকে তুলে ফেলতে হবে।
পুষ্টির অভাবজনিত রোগ : এ রোগে পুকুরে চাষযোগ্য যে কোনো মাছই আক্রান্ত হতে পারে। ভিটামিন এ.ডি এবং কে-এর অভাবে মাছ অন্ধত্ব এবং হাড় বাঁকা রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। মাছের খাবারে আমিষের ঘাটতি দেখা দিলেও মাছের স্বাভাবিক বর্ধনপ্রক্রিয়া বিঘ্নিত হয়। অচিরেই মাছ নানা রোগের কবলে পড়ে। এসব রোগে আক্রান্ত মাছকে খাবারের সঙ্গে প্রয়োজনীয় মাত্রায় সুনির্দিষ্ট ভিটামিন ও খনিজ লবণ মিশিয়ে খাওয়ানো হলে যথাশিগগিরই মাছের শারীরিক সুস্থতা পুনরুদ্ধার সম্ভব হয়।
করণীয় : সুস্থ-সবল মাছ উত্পাদনের লক্ষ্যে প্রাকৃতিক খাদ্যের পাশাপাশি মাছকে সম্পূরক খাদ্য প্রদান অত্যাবশ্যক। মাছের রোগ হওয়ার পর চিকিত্সার পরিবর্তে মাছের রোগ যাতে না হয়, সে ব্যবস্থা গ্রহণ করাই উত্তম। কেননা, মাছ চাষের ক্ষেত্রে মাছের রোগ একটি বড় সমস্যা।
সর্বোপরি সঠিক ব্যবস্থাপনা, যথাযথ নিয়ম পদ্ধতি তথা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে মাছ চাষ করা হলে চাষকৃত পুকুরে মাছের রোগ প্রতিরোধ করা অনেকাংশেই সম্ভব।
সূত্র : এগ্রোবাংলা ডট কম

Sunday, January 6, 2013

দীপান্বিতা প্রাণ


দীপান্বিতা প্রাণ

lincoln-daniel
এই জনপদে প্রাণের অভাব নেই।
দীপেরও আভাব নেই; অভাব শুধু সেই
প্রাণ থেকে আলো বিচ্ছুরিত হওয়ার। সেই
দীপ থেকে জ্যোতির বিচ্ছুরণও ঘটে না আজ।
কারণ স্বার্থপর দৈত্যটা না, সেই প্রাণ আর
আলোর চোখে নিকষ কালো কালিমা লেপন
করে রেখেছে!
আলো বিচ্ছুরিত হয়েছিল সেই প্রসিডেন্ট
লিঙ্কন থেকে; যিনি প্রথম দাসত্বের হাত কড়া আর
পা কড়া থেকে মুক্ত করেছিলেন ওদের চির তরে।
কিন্ত,তাঁর প্রাণের আলোর বিচ্ছুরণ ঘটাতে দেয় নি
বেশি দিন পিশাচ ঘাতকেরা।
আজ নিকষ কালো আঁধারে নিমজ্জিত এই জনপদ;
এর সর্বাঙ্গ দাসত্বের শিকলে অবরুদ্ধ; বন্দিত্বের
অদৃশ্য কঠিন কড়া অধিকার আদায়ের হাত পা
বেঁধে রেখেছে। ওদের জন্য প্রয়োজন নিবেদিত
দীপান্বিতা প্রাণ।
রেটিং করুন:
Rating: 2.0/5 (1 vote cast)
Rating: +1 (from 1 vote)
এই পোস্টের বিষয়বস্তু ও বক্তব্য একান্তই পোস্ট লেখকের নিজের, লেখার যে কোন নৈতিক ও আইনগত দায়-দায়িত্ব লেখকের। অনুরূপভাবে যে কোন মন্তব্যের নৈতিক ও আইনগত দায়-দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট মন্তব্যকারীর। শব্দনীড় ব্লগ কোন লেখা ও মন্তব্যের অনুমোদন বা অননুমোদন করে না।
▽ এই পোস্টের ব্যাপারে আপনার কোন আপত্তি আছে?

১৬ টি মন্তব্য (লেখকের ৮টি) | ৮ জন মন্তব্যকারী

  1. ডা. দাউদ : ০৭-০৮-২০১২ | ২৩:৩০ |
    Delete
    এই জনপদে প্রাণের অভাব নেই।
    দীপেরও আভাব নেই; অভাব শুধু সেই
    প্রাণ থেকে আলো বিচ্ছুরিত হওয়ার।
    আমাদের ভাগ্যে এমন এক আলোর বড় বেশী প্রয়োজন আজ
    ভালো আশার কাব্য পেলাম আজ
    ধন্যবাদ
  2. বিষণ্ণময়ী : ০৮-০৮-২০১২ | ১০:২২ |
    Delete
    প্রেসিডেন্ট আবাহ্রাম লিংন্কনের প্রতি রইল শ্রদ্ধা যিনি দাসত্ব থেকে রক্ষা করেছিলেন অনেক মানুষকে।
    চমৎকার লিখেছেন। শুভ কামনা রইল।